ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা
আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদকে দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তোলা হবে
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সরকার এবং মুসল্লিদের সহায়তায় চট্টগ্রামের প্রাচীনতম মসজিদ আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদকে দৃষ্টিনন্দন এবং আইকনিক মসজিদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের পুনঃনির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল দুপুরে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রথম পর্যায়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ওই টাকার উপর নির্ভর করে চট্টগ্রামের সকল গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে ফান্ড সংগ্রহের মাধ্যমে এই আইকনিক মসজিদ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। চট্টগ্রামের মানুষের মন অনেক বড়। আশা করি সকলের সহযোগিতায় এই মসজিদকে আইকনিক মসজিদে রূপান্তরিত করতে কষ্ট হবে না।
উপদেষ্টা আরো বলেন, এই মসজিদে আমি ছোটকাল থেকে নামাজ পড়ি। তাই এই মসজিদের প্রতি আমার আলাদা একটা টান আছে। আমরা যদি ওআইসি ভুক্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিভিন্ন সংস্থার কাছে এই প্রজেক্টটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি তাদের কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাব। সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ্য থেকে যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে।
মসজিদের ডিজাইন দৃষ্টিন্দন হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, নির্মিত মসজিদে একসাথে ১৪ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজ আদায়ের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। মার্কেট থাকবে, অডিটোরিয়াম থাকবে, খাদেম-মুয়াজ্জিনদের জন্য আবাসন সুবিধা বিদ্যমান থাকবে।
তিনি বলেন, এটিকে সরকার বিশ্ব ঐতিহ্য প্রতুতাত্ত্বিক নিদর্শনের আওতাভুক্ত করেছে। কিন্তু অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে আমরা এটিকে বাইরে থেকে দেখতে পাই না। তাই এ মসজিদের কাঠামো বিদ্যামান রেখে নতুন করে মসজিদ নির্মাণ করতে হবে। মূল স্থাপনা যদি নামাজ পড়ার অনুপযুক্তও হয়ে যায় বাঁশ দিয়ে হলেও এটিকে রক্ষা করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের জন্য ২০০-৪০০ কোটি টাকা বড় কোনো বিষয় নয়। আমাদের গর্বের এই মসজিদের জন্য বাইরের কারও কাছে যাওয়ার দরকার নেই। চট্টগ্রামের মানুষই যথেষ্ট। এটা শুধু আত্মার ব্যাপার। মনের ব্যাপার।
মসজিদের খতিব আল্লামা সাইয়েদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল মাদানী বলেন, সরকার অনেক এসেছে, গেছে- কিন্তু আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের একটি ইটও পরিবর্তন হয়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ধর্ম উপদেষ্টা একটি উদ্য্গো নিয়েছেন। বায়তুল মোকাররম নির্মাণ হয়েছে বায়তুল্লাহর আদলে। এটি হবে মসজিদে নববীর আদলে। ইনশাআল্লাহ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মসজিদের মুসল্লি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক, মুসল্লি পরিষদের সভাপতি সালাউদ্দিন কাশেম খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল্লাহ নুরী।