
এম কে আলম চৌধুরী
———————
চমেক হৃদরোগ বিভাগে যুক্ত হয়েছে নতুন এনজিওগ্রাম মেশিন,আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
হৃদরোগ বিভাগে যুক্ত হয়েছে নতুন এনজিওগ্রাম মেশিন
দ্বিগুণ সেবা পাবেন রোগীরা আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চমেক হাসপাতাল
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা অব্যবহৃত এনজিওগ্রামটি আজ উদ্বোধন করা হচ্ছে। মেশিন চালু হলে হৃদরোগ বিভাগে কাজের গতিও বৃদ্ধি পাবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ সকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুর জাহান বেগম চমেক হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় স্থাপিত সেই মেশিনটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। মেশিনটি আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও অপারেশনাল কার্যক্রমে যেতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে বলছেন চিকিৎসকরা। এর আগে গত ৮ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অব্যবহৃত দুটি ক্যাথল্যাবের (এনজিওগ্রাম) মধ্য থেকে একটি চট্টগ্রামে স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়োজন না থাকা স্বত্ত্বেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার নিজ এলাকা মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে দুটি এনজিওগ্রাম মেশিন বরাদ্দ দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত মেশিন দুটি বাক্স বন্দি ছিল। তবে পরবর্তীতে রোগীর চাপ বিবেচনায় এরমধ্যে একটি মেশিন চমেক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে জাপানের শিমার্জু ব্র্যান্ডের একটি মেশিন দিয়ে টিপিএম, পিপিএম, এনজিওগ্রাম, পেরিপাইরাল এনজিওগ্রাম ও রক্তনালীতে রিং স্থাপনের কাজ চলছে। অতিরিক্ত চাপের কারণে গত সেপ্টেম্বরে মেশিনটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে কাজ বন্ধ থাকে পাঁচদিন। এছাড়া গত ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একইভাবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ মেশিনটি বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে মেশিনটির সরবরাহকারী কোম্পানির প্রতিনিধিরা পিকচার টিউব স্থাপন করে সচল করে। এছাড়া গত ২০২১ সালের শেষের দিকে অপর একটি এনজিওগ্রাম মেশিনের পিকচার টিউব নষ্ট হয়ে যায়। মেশিনটি সচল করার জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জানায় মেরামত করতে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে। সেটি আর মেরামত করা হয়নি। সেটি এখনো বিকল অবস্থায় পড়ে আছে।
হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগ বিভাগে এনজিওগ্রাম মেশিন সংকটের সমাধান হলে কাজের গতিও দ্বিগুণ হবে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় চট্টগ্রামে হৃদরোগের প্রকোপ বেশি। হৃদরোগের চিকিৎসায় উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ প্রতিবেশী দেশ ভারত, সিঙ্গাপুর ব্যাংককসহ বিশ্বের উন্নত দেশে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে গরীব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের একমাত্র ভরসা চমেক হাসপাতাল। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের কয়েক কোটি মানুষ এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল।
জানতে চাইলে চমেক হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর উদ্দিন তারেক দৈনিক আজাদীকে বলেন, নতুন এনজিওগ্রাম মেশিন স্থাপনের কাজ শেষ। আগামীকাল (আজ) স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদয় সেটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। আমাদের হাসপাতালে হৃদরোগীর চাপ দিন দিন বাড়ছে। সেই হিসেবে এখন আরেকটি মেশিন যুক্ত হওয়ায় আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে। তবে আমাদের এখন পরিমাণ রোগী বর্তমানে অন্তত তিনটি মেশিন দরকার।
জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, হৃদরোগ বিভাগে নতুন এনজিওগ্রাম মেশিন যুক্ত হয়েছে। এতে চট্টগ্রামের হৃদরোগীরা আরো বেশি পরিমাণে উপকৃত হবে,।