শিক্ষক কামালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সাত কাহন তারপরও পদে বহাল-
জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলা চম্পকনগর ইউনিয়নে অবস্থিত চম্পকনগর উচ্চ বিদ্যালয়। এই উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামাল । দীর্ঘ সময় ধরে চম্পকনগর উচ্চ বিদ্যালয় এ দায়িত্ব পালনকালে, বিভিন্ন রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে । ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক বৃন্দ, সুশীল সমাজ, সুধী মহল সহ এলাকার জনগণের অভিযোগ, চম্পকনগর উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ।
চম্পক নগর স্কুল প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও অভিযোগ উপস্থাপিত বিষয়সমূহঃ-
(১) সনদপত্রের নামে টাকা আদায় শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদপত্র বিনামূল্যে দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে।
(২) সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামালের দায়িত্বহীনতা,রুটিনে প্রতিদিন মাত্র ১টি ক্লাস থাকে। নিয়মিতভাবে সেই ক্লাসও গ্রহণ করেন না। প্রায়ই উপজেলা শিক্ষা অফিস বা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত না করে প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকেন।
(৩) কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহারহীন স্কুলে বিশাল কম্পিউটার ল্যাব থাকলেও কখনো ক্লাস পরিচালিত হয় না।
(৪) প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের অনুপস্থিতি বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ে কোনো প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস হয় না।
(৫) শিক্ষকগণের উপস্থিতি সমস্যা শিক্ষকরা সকাল ৯:০০ টা থেকে বিকেল ৫:০০ টা পর্যন্ত নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। প্রায়ই সময়ের আগে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়।
(৬) আর্থিক স্বচ্ছতা নীতিমালা ২০২৩ লঙ্ঘন
বিল ভাউচার যথাযথ নিয়মে করা হয় না।
ব্যক্তিগতভাবে মনগড়া ভাউচার তৈরি করে খরচ দেখানো হয়।
(৭) কোচিং বাণিজ্য নীতিমালা ২০১২ লঙ্ঘন
ছেলে-মেয়েদের সকাল ৭টায় কোচিং করানো হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা না খেয়ে স্কুলে আসে এবং অনেক সময় ক্লাস ফাঁকি দেয়।
. ( ১) বিধি বহির্ভূত নিয়োগ:- সহকারী শিক্ষক (গণিত) পদে যোগ্যতা উপেক্ষা করে দলীয় প্রভাবে নিয়োগ।
(২) সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম:- শূন্যপদ ঘোষণা ব্যতিরেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নিয়োগ বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় অসংগতি, নিয়োগ পরীক্ষায় অনৈতিক নম্বর প্রদান।
(৩) ভুয়া যোগদানপত্র ও ব্যাকডেট নিয়োগ: প্রথম স্থান অর্জনকারীকে নিয়োগপত্র না দিয়ে অবৈধভাবে দ্বিতীয় স্থানধারীকে নিয়োগ প্রদান।
(৪) আর্থিক দুর্নীতি ও আত্মসাৎ:- ২০১৯ইং থেকে অদ্যাবধি ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ। ২০২১ইং সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অব্যয়িত অর্থ ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ। স্কুল ফান্ড থেকে বেআইনি বেতন/ভাতা গ্রহণ।
(৫) কোচিং বাণিজ্য:- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১২ইং সালের কোচিং নীতিমালা অমান্য করে কোচিং পরিচালনা।
(৬) শিক্ষা কার্যক্রমে অনিয়ম: নিয়মিত ক্লাস না নেওয়া, অ্যাসেম্বলি ও জাতীয় দিবস উপেক্ষা, নিষিদ্ধ গাইড বই চালু রাখা।
(৭) শিক্ষার্থীদের ওপর হয়রানি ও শাস্তি:- নোটিশ বিহীন মানসিক-শারীরিক শাস্তি, এডমিট কার্ড আটকে দেওয়া, স্থানীয় প্রভাব খাটানো।
(৮) ভুয়া সনদ ব্যবহার:- তার স্ত্রী ভুয়া ডিপ্লোমা সনদের মাধ্যমে শিক্ষকতা করছেন বলে অভিযোগ।
(৯) রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার:- দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থেকে দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার, ম্যানেজিং কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ, একাধিক এডহক কমিটি গঠন।
বিজয়নগর উপজেলা সুশীল সমাজ,শিক্ষক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দ্রুত সত্যতা নিরূপণে,দুর্নীতি ও অনিয়মে মোস্তফা কামাল এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুশাসন, স্বচ্ছতা ও শিক্ষার মান নিশ্চিত করণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে দাবি জানান।