এম কে আলম চৌধুরী
-----------------
সেন্টমার্টিন থেকে ১৮৫০ কেজি প্লাস্টিকসহ বর্জ্য অপসারণ
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’। দুই দিনব্যাপী এই অভিযানে প্লাস্টিকসহ প্রায় ১৮৫০ কেজি অপচনশীল বর্জ্য সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে অপসারণ করা হয়েছে।
সেন্টমাটিনে এটি ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’র ১৫তম পরিচ্ছন্ন অভিযান। দুই দিনব্যাপী এই পরিছন্নতা অভিযানটি গতকাল শনিবার বিকেলে শেষ হয়। ইউনিলিভার বাংলাদেশের সহযোগিতায় এতে স্থানীয় লোকজনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সেন্টমার্টিনের স্কুল–মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এই পরিছন্নতা অভিযানে অংশ নেন। কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, দুই দিনব্যাপী সেন্টমার্টিনের অলিগলি ও সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ নানা ধরনের অপচনশীল ময়লা–আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগেও সংগঠনটির উদ্যোগে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে এ ধরনের কার্যক্রম চালানো হয়েছিল বলে জানান তিনি।
কেওক্রাডং বাংলাদেশেকে স্বাগত জানিয়ে সেন্টমার্টিনের ইউপি সদস্য ছৈয়দ আলম বলেন, সেন্টমার্টিনকে পরিষ্কার রাখার জন্য ১৫ বছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। এইভাবে সবাই এগিয়ে এসে নিজেদের দায়িত্ব পালন করলে সেন্টমার্টিনের জন্য খুবই উপকারী হবে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি প্রতিবছরের মত এ বছরও সেন্টমার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে। যা সেন্টমার্টিনের জন্য খুব উপকারী।
মুনতাসির মামুন বলেন, সেন্টমাটিনে সারা বছর পযর্টক আসার সুযোগ দিলে ভালো হয়। তবে খুব সীমিত সংখ্যক পর্যটক আসতে দিতে হবে। এভাবে হলে বেশি পযটকের চাপ পড়বে না সেন্টমার্টিনে। আর সেন্টমার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এই দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়বে বঙ্গোপসাগরেও। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ছিল সামর্থ্য অনুযায়ী সেই পরিণামকে যতটা সম্ভব সীমিত করা।