
ওমর সিনিয়র বিভাগীয় ব্যুরোচীফ সিলেট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়মই যেখানে নিয়ম
. দেশের ভূমি সম্পৃক্ত সকল অফিসের লাগামহীন দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ জনসাধারণ। এসব দুর্নীতি কে তোয়াক্কা না করে, দিনের পর দিন বেড়েই চলছে তাদের দুর্নীতি। এসব আর্থিক দুর্নীতি এখন নীতিতে পরিণত হয়েছে, অনিয়মই যেখানে নিয়ম ।
. আইনগত ভাবে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নগদ কোন আর্থিক লেনদেনের বাধা-বিঘ্ন থাকলেও সরাসরি চলছে আর্থিক লেনদেন। আর এসব লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে উত্তর আসে ভিন্ন। যদিও একেক দলিল লেখক প্রতি দলিলে ৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনতে দেখা গেলেও, মানতে নারাজ দায়িত্বরত অফিসার কে।
. ভুক্তভোগীরা স্ব ইচ্ছায় অতিরিক্ত টাকা দিয়েও অস্বীকার করছে যাতে আটকে না যায় তাদের দলিল। এমন কি দলিল লেখকরাও গোপনে স্বীকার করে সম্মুখে অস্বীকার। কারণ তারা ম্যানেজ করে চলতে হয়।
. এমনই তথ্যচিত্রে গত ১৭ই জুন (মঙ্গলবার) বিজয়নগর উপজেলার সাপ্তাহিক সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মচারী সুফলা আক্তার পদবি একজন মোহরার, দলিল লেখক এর কাছ থেকে ১০০০ টাকার নোট এর বান্ডেল গুনতে দেখা যায়।
. গোপন সূত্রে জানা যায়, প্রতি দলিল লেখকের কাছ সরকারি ফি ব্যাংক চালান বাদ রেখে অতিরিক্ত অফিস ও স্টাফ খরচ বাবদ ৪ হাজার টাকা দিতে হয় নগদে। এছাড়াও কাগজপত্রে সামান্য সমস্যা থাকলে গুনতে হয় লাখ টাকা। আর এসবের ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে অসহায় ক্রেতা ও বিক্রেতা। দলিলের এমন ঝামেলা এড়াতে তারাও নিশ্চুপ সহ্য করে যাচ্ছে।
. এ সব দুর্নীতির সরাসরি সত্যতা থাকলেও সাফাই গাইতে এসেছেন বিজয়নগর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের দলিল লেখক সুলেমান মিয়া ১৩০নং লাইসেন্স। সে এ সব দুর্নীতি কে অস্বীকার করে সাংবাদিক কে জানান, এটা কোন বিষয় না, প্রতি দলিলে ৩৭০ টাকা নেওয়ার বিধান আছে অফিস খরচ বাবদ। যদিও ওই মহিলাকে গুনতে দেখা যায় হাজার হাজার টাকার নোট।
. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক জানান, অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার বিষয়টা শুধু আমাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, দলিলের মূল্যের উপরে প্রতি লাখে ৭০০ টাকা রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত দিতে হয়। দলিল স্বাক্ষর হওয়ার পর পরই তাদেরকে এই টাকাটা দিতে হয়।
সচেতন মহলের দাবি, এসব দুর্নীতি এখনই বন্ধ করা না হলে, বেপরোয়া হয়ে উঠবে দুর্নীতিবাজ ও মধ্যভুগি দলিল লেখকরা। না জানি ৪ হাজারের বাহানায় অতিরিক্ত আরও কত টাকা আদায় করে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।
. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন দলিল লেখক আমাদের মিডিয়া প্রতিনিধি কে জানান, প্রতি দলিলে ৪ হাজার টাকা করে দিতে হয় অফিসে। এসব ঘুষের টাকা, মাস শেষে অফিসের স্টাফদের মধ্যে বন্টন করে নেন ।
. এ বিষয়ে সাব-রেজিস্টার মশিউর রহমান স্টাফদের সাথে আলোচনা এক রকম চ্যালেঞ্জের সহিত বলেন, আমাকে সত্যতার ভিডিও ফুটেজ দেখালে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যদিও ভিডিও ফুটেজ দেখার পর এখন পর্যন্ত কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়নি।
. এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেজিস্টার, খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ,দৈনিক ফ্রন্টিয়ার.নিউজ মিড়িয়া প্রতিনিধি কে বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত না ।