
মনছুরুল ইসলাম চৌধুরী কক্সবাজার
মহেশখালী কালারমারছড়ার তহসিলদার রিদোয়ানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ..
কালামারছড়া ইউনিয়নের তহসিলদার মো. রিদোয়ান নিজের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি পক্ষের পরিচালিত অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানান, ভূমি অফিসে স্বচ্ছতা ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করায় তিনি একটি সুপরিকল্পিত সিন্ডিকেটের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায় ও দখল যাচাইসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমি-সেবাগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে গিয়ে একটি মহল ব্যক্তিগত বিরোধ ও স্বার্থরক্ষা করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছে।
রিদোয়ান জানান, গত ২ মার্চ যোগদানের পর থেকে কালামারছড়া ইউনিয়নে সরকারি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ভূমি অফিসের কার্যক্রমে গতি আনার জন্য দখল যাচাই ছাড়া কোনো নামজারি প্রস্তাবে সুপারিশ না করার নীতি গ্রহণ করেন। এতে ভূমি দস্যু ও দালালদের দীর্ঘদিনের অনিয়মে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে তারা একজোট হয়ে অপপ্রচারকে হাতিয়ার করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি তদন্ত প্রতিবেদন সঠিক সময়ে প্রেরণ, দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা আবেদন
নিষ্পত্তি, স্থগিত মামলার দ্রুত সমাধান ও ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে তিনি নিয়মিত সরেজমিনে গিয়ে সঠিক রেকর্ড, দাগ-খতিয়ান ও প্রকৃত দখল যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেন। এই স্বচ্ছতা ও কঠোরতার কারণেই ভূমিদস্যু চক্র গণমাধ্যমের একটি অংশকে ব্যবহার করে তাকে ঘিরে মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছে।
উত্তর নলবিলা মৌজার ২৭৮ নম্বর খতিয়ান প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, খতিয়ানটি আগেই অনলাইনে সমন্বিত ছিল। পরে ওয়ারিশরা নিজেরাই বাজারের কম্পিউটার দোকানে গিয়ে ‘৩২ বাংলা’ অ্যাপের মাধ্যমে খাজনা পরিশোধ করেন। সেখানে ৫০০ বা ২৭ টাকা খাজনা আদায়ের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে তহসিলদার রিদোয়ানসহ ভূমি অফিসের কোনো কর্মচারীর সম্পৃক্ততা নেই। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু পেশাদার দালাল সরকারি নির্ধারিত ১,১৭০ টাকার পরিবর্তে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আসছিল। তার যোগদানের পর এসব অবৈধ অর্থ আদায় বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে এই দালালচক্র সোশ্যাল মিডিয়া, কিছু অনলাইন পোর্টাল ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।
তহসিলদার রিদোয়ান দৃঢ় কণ্ঠে বলেন-“আমি সরকারের নিয়ম মেনেই কাজ করছি। ভূমি সেবায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই আমার লক্ষ্য। কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ালেও জনগণ সত্য জানে। অপপ্রচার আমাকে দায়িত্ব থেকে সরাতে পারবে না।”
তিনি অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও ইঙ্গিত দেন এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে যাচাই-বাছাই করে সত্য তথ্য প্রকাশের আহবান জানান।